ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

লবণবাহী ট্রাকে মহাসড়কের সর্বনাশ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ১১:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ১৪ সময় ভিউ

এশিয়ান করিডোরে যুক্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাইকার অর্থায়নে এই মহাসড়কের পটিয়ার ইন্দ্রপুল অংশ ছয় লেনে উন্নীত করা হয়। সেতুটিও ছয় লেনের। লবণবাহী ট্রাকের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে সড়কটিতে বাড়ছে দুর্ঘটনাপ্রবণতা। লবণাক্ত পানি পড়ে কমছে সড়কের আয়ুষ্কাল।

সড়ক বিভাগ বলছে, শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়। শুধু লবণপানির কারণেই বিটুমিন সড়কের স্থায়িত্ব ও আয়ুষ্কাল কমে যায়। সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ঘটে দুর্ঘটনা।

গণপরিবহন চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্দ্রপুল লবণ কারখানাগুলোতে আসা ট্রাক থেকে পড়া লবণপানি মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটলেও লবণ কারখানা মালিকদের কোনো কর্ণপাত নেই। তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাসড়কেই লবণবাহী ট্রাকের স্ট্যান্ডে পরিণত করেছেন। সড়কে লবণপানি পড়া এড়াতে ভেজা লবণ পরিবহনে ট্রাকে সঠিকভাবে পলিথিন ব্যবহারের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

ইন্দ্রপুলে একটি ট্রাক টার্মিনাল ছিল, কিন্তু সেতু ও সড়ক সম্প্রসারণের সময় ট্রাক টার্মিনালের জায়গা নিয়ে নেয় রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে। তারা ইন্দ্রপুলের সড়কটি করতে আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনাই করেননি।- ইন্দ্রপুল লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক’। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক সড়ক নেটওয়ার্কে (এশিয়ান করিডোর) যুক্ত করার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সহজতর করতে মহাসড়কটির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হয়। বিশেষ করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (সিবিআরএনআইপি) আওতায় মহাসড়কটিতে ইতোমধ্যে ৭৫১ কোটি টাকার চারটি ছয় লেনের সেতু নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। গত কয়েক মাস আগে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয় ছয় লেনের সেতুটি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

লবণবাহী ট্রাকে মহাসড়কের সর্বনাশ

বর্তমান সময় : ১১:০২:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

এশিয়ান করিডোরে যুক্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাইকার অর্থায়নে এই মহাসড়কের পটিয়ার ইন্দ্রপুল অংশ ছয় লেনে উন্নীত করা হয়। সেতুটিও ছয় লেনের। লবণবাহী ট্রাকের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে সড়কটিতে বাড়ছে দুর্ঘটনাপ্রবণতা। লবণাক্ত পানি পড়ে কমছে সড়কের আয়ুষ্কাল।

সড়ক বিভাগ বলছে, শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়। শুধু লবণপানির কারণেই বিটুমিন সড়কের স্থায়িত্ব ও আয়ুষ্কাল কমে যায়। সড়ক পিচ্ছিল হয়ে ঘটে দুর্ঘটনা।

গণপরিবহন চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্দ্রপুল লবণ কারখানাগুলোতে আসা ট্রাক থেকে পড়া লবণপানি মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটলেও লবণ কারখানা মালিকদের কোনো কর্ণপাত নেই। তারা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাসড়কেই লবণবাহী ট্রাকের স্ট্যান্ডে পরিণত করেছেন। সড়কে লবণপানি পড়া এড়াতে ভেজা লবণ পরিবহনে ট্রাকে সঠিকভাবে পলিথিন ব্যবহারের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

ইন্দ্রপুলে একটি ট্রাক টার্মিনাল ছিল, কিন্তু সেতু ও সড়ক সম্প্রসারণের সময় ট্রাক টার্মিনালের জায়গা নিয়ে নেয় রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে। তারা ইন্দ্রপুলের সড়কটি করতে আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনাই করেননি।- ইন্দ্রপুল লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কাদের

জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক’। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে বাংলাদেশের প্রধান আন্তর্জাতিক সড়ক নেটওয়ার্কে (এশিয়ান করিডোর) যুক্ত করার মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সহজতর করতে মহাসড়কটির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হয়। বিশেষ করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (সিবিআরএনআইপি) আওতায় মহাসড়কটিতে ইতোমধ্যে ৭৫১ কোটি টাকার চারটি ছয় লেনের সেতু নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। গত কয়েক মাস আগে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয় ছয় লেনের সেতুটি।