ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

২৫ মার্চ থেকে দেশের ৮ হাজার ভাটায় ইট বিক্রি বন্ধ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০২:১৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • ১৬ সময় ভিউ

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাত দফা দাবি না মানলে আগামী ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশের প্রায় আট হাজার ইটভাটায় ১৫ দিন ইট বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির সভাপতি। এতে ১০ লাখ নারী শ্রমিকসহ প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হতে পারেন।

এছাড়াও প্রায় ১৪ হাজার মালিক লোকসানে পড়তে যাচ্ছেন। এছাড়াও এ দাবি না মানা হলে আগামী বছর থেকে সারা দেশে ইট উৎপাদন বন্ধ করা হবে।

বুধবার বিকালে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান।

তিনি বলেন, এ খাতের মালিকদের প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যাংকে লোন রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোনের টাকা অনাদায়ী থেকে যাবে। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার।

মঙ্গলবার দুপুরে সাত দফা দাবি নিয়ে টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির নেতারা।

তাদের দাবি হচ্ছে- ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় ‘দূরত্ব নির্দিষ্ট’ করণের কারণে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলুন এবং ট্যানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে সুতরাং আমাদের জিগজাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮ (৩) (খ) এ বনের দূরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারির মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

জিগজাগ ইটভাটায় কোনো প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন। ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি করেন। ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘমেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

এসব দাবি না মানা হলে আগামী বছর থেকে সারা দেশের প্রায় আট হাজার ভাটায় ইট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বহুতল ভবণসহ সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৫ মার্চ থেকে দেশের ৮ হাজার ভাটায় ইট বিক্রি বন্ধ

বর্তমান সময় : ০২:১৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সাত দফা দাবি না মানলে আগামী ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশের প্রায় আট হাজার ইটভাটায় ১৫ দিন ইট বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সমিতির সভাপতি। এতে ১০ লাখ নারী শ্রমিকসহ প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হতে পারেন।

এছাড়াও প্রায় ১৪ হাজার মালিক লোকসানে পড়তে যাচ্ছেন। এছাড়াও এ দাবি না মানা হলে আগামী বছর থেকে সারা দেশে ইট উৎপাদন বন্ধ করা হবে।

বুধবার বিকালে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান।

তিনি বলেন, এ খাতের মালিকদের প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যাংকে লোন রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোনের টাকা অনাদায়ী থেকে যাবে। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে সরকার।

মঙ্গলবার দুপুরে সাত দফা দাবি নিয়ে টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারি মালিক সমিতির নেতারা।

তাদের দাবি হচ্ছে- ২০১৩ সালের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় ‘দূরত্ব নির্দিষ্ট’ করণের কারণে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলুন এবং ট্যানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে সুতরাং আমাদের জিগজাগ ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮ (৩) (ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮ (৩) (খ) এ বনের দূরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারির মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

জিগজাগ ইটভাটায় কোনো প্রকার হয়রানি বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন। ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি করেন। ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘমেয়াদি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

এসব দাবি না মানা হলে আগামী বছর থেকে সারা দেশের প্রায় আট হাজার ভাটায় ইট উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বহুতল ভবণসহ সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।