নিরীহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ। তিনি বলেন, “নিরীহ আওয়ামী লীগ কর্মীদের কোনভাবেই মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না। এখনো পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে ভারত এবং আমেরিকার দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশকে দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এবং সারাদেশে আওয়ামী লীগের বাড়িঘরে হামলা চালানো হলো, তখন আমি এবং আমাদের সভাপতি নুরুল হক নূর এ ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছিলাম। অনেকেই আমাদের গালিগালাজ করছিল, কিন্তু এই সমস্ত ঘটনা সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যদি আপনি সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেন, তাহলে সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।”
রাশেদ মন্তব্য করেন, “গণহত্যা চালানো বা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করার জন্য দোষীদের শনাক্ত করে তাদের ধরতে হবে। যদি আপনি একজন সাধারণ আওয়ামী লীগ কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেন, তাহলে ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট হবে এবং সামাজিক বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” তিনি বলেন, “যারা সমাজের শান্তি চায়, তাদের উচিত ঠান্ডা মাথায় ভাবা। রাষ্ট্র পরিচালনা এবং বিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে জাতীয় ঐক্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায়।”
রাশেদ আরও জানান, “আমেরিকা এবং ভারত সম্প্রতি বৈঠক করেছে, যা অনেকেই ছোট ভাবে দেখছেন। তবে মোদি ও ট্রাম্পের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিষয়টি এখনো পর্যন্ত আমেরিকা ভারতকে ছাড়া বোঝে না। এর প্রমাণ আমাদের সামনে এসেছে। আমাদের সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে, বাংলাদেশকে আর ভারতের চোখ দিয়ে দেখতে হবে না, আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের আমেরিকার সাথে সরাসরি সম্পর্ক থাকতে হবে।” তিনি শেষ করেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের দেশকে অন্যভাবে দেখা না হয়, আর বাংলাদেশকে ভারতের মাধ্যমে না দেখা হয়। আমাদের সরাসরি সম্পর্ক থাকবে, যা দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”