ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত গ্রহণ করুন ৫ খাবার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০৫:১১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ১৭ সময় ভিউ

বাংলাদেশের বহু মানুষ উচ্চ রক্তচাপ সম্যায় ভোগেন। বিশেষ করে শহরে বসবাসকারীদের মধ্যে এর মাত্রা বেশি। বেসরকারি সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর গবেষণায় উঠে এসেছে, অন্তন ১৪ শতাংশ মানুষের ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি শারীরিক অসুস্থতা যা একেবারে ভালো করা সম্ভব নয়। তবে কিছু সহজ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রিটিকিন লংজিভিটি সেন্টারের পুষ্টিবিদ মার্থা থেরান উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে বলেন, কম ক্যালোরি, পুষ্টিকর এবং কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্যকর পরিসরে চলে আসতে পারে। নিয়ম মানলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এই পরিবর্তন অনুভব করা যাবে।

বাড়িতে রান্না করা

মার্থা থেরান প্রথমেই বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, রান্নাঘরে নিজে রান্না করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে ঘরের তাজা উপাদান দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত হবে। ফলে শরীরে সোডিয়াম এবং চিনির পরিমাণ কমবে। আবার প্রয়োজনীয় পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আঁশ গ্রহণের পরিমাণও বাড়াবে।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে রান্না করা খাবারে প্রক্রিয়াজাত উপাদান কম থাকে এবং কী কী উপাদান খাবারে যাচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয়।

আঁশ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান

এই পুষ্টিবিদের পরামর্শ, আঁশ বেশি খাওয়া হাইপারটেনশন প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

আঁশ প্রধানত সব প্রক্রিয়াহীন উদ্ভিজ্জ খাবারে পাওয়া যায়, যেমন তাজা শাকসবজি। সুতরাং, শাকসবজি খাওয়া শুধু আঁশ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায় না, রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে।

সোডিয়ামের পরিমাণ কমান

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সোডিয়ামের পরিমাণ কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মার্থার মতে, প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম বা লবণ থাকে, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। সোডিয়াম শরীরের তরল ধারণের ক্ষমতা এবং ধমনির প্রসারণে প্রভাব ফেলে।

তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়ান

মার্থা বলেন, কম পটাসিয়াম এবং বেশি সোডিয়াম খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পটাসিয়াম অনেক খনিজের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে এবং এটি সোডিয়ামের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পর্কিত। এছাড়া পটাসিয়াম মূত্রপথ থেকে সোডিয়ামের নিঃসরণ বাড়িয়ে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

তাই বেশি পটাসিয়াম আছে এমন খাবার যেমন শাকসবজি, কলা, মিষ্টি আলু, ডিম, ডাল এবং অ্যাভোকাডো খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ ।

আর্দ্র থাকা

সর্বশেষ পরামর্শ হলো, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক।

পানির মাধ্যমে শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় থাকে। শরীরের পানির অভাব রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তবে রক্তচাপ দ্রুত এবং প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম যে কোনো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত গ্রহণ করুন ৫ খাবার

বর্তমান সময় : ০৫:১১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের বহু মানুষ উচ্চ রক্তচাপ সম্যায় ভোগেন। বিশেষ করে শহরে বসবাসকারীদের মধ্যে এর মাত্রা বেশি। বেসরকারি সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর গবেষণায় উঠে এসেছে, অন্তন ১৪ শতাংশ মানুষের ভবিষ্যতে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি শারীরিক অসুস্থতা যা একেবারে ভালো করা সম্ভব নয়। তবে কিছু সহজ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রিটিকিন লংজিভিটি সেন্টারের পুষ্টিবিদ মার্থা থেরান উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে বলেন, কম ক্যালোরি, পুষ্টিকর এবং কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্যকর পরিসরে চলে আসতে পারে। নিয়ম মানলে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এই পরিবর্তন অনুভব করা যাবে।

বাড়িতে রান্না করা

মার্থা থেরান প্রথমেই বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, রান্নাঘরে নিজে রান্না করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে ঘরের তাজা উপাদান দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুত হবে। ফলে শরীরে সোডিয়াম এবং চিনির পরিমাণ কমবে। আবার প্রয়োজনীয় পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আঁশ গ্রহণের পরিমাণও বাড়াবে।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে রান্না করা খাবারে প্রক্রিয়াজাত উপাদান কম থাকে এবং কী কী উপাদান খাবারে যাচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব হয়।

আঁশ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ান

এই পুষ্টিবিদের পরামর্শ, আঁশ বেশি খাওয়া হাইপারটেনশন প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

আঁশ প্রধানত সব প্রক্রিয়াহীন উদ্ভিজ্জ খাবারে পাওয়া যায়, যেমন তাজা শাকসবজি। সুতরাং, শাকসবজি খাওয়া শুধু আঁশ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ায় না, রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে।

সোডিয়ামের পরিমাণ কমান

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সোডিয়ামের পরিমাণ কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মার্থার মতে, প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম বা লবণ থাকে, যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। সোডিয়াম শরীরের তরল ধারণের ক্ষমতা এবং ধমনির প্রসারণে প্রভাব ফেলে।

তাই প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়ান

মার্থা বলেন, কম পটাসিয়াম এবং বেশি সোডিয়াম খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পটাসিয়াম অনেক খনিজের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে এবং এটি সোডিয়ামের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গেও সম্পর্কিত। এছাড়া পটাসিয়াম মূত্রপথ থেকে সোডিয়ামের নিঃসরণ বাড়িয়ে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

তাই বেশি পটাসিয়াম আছে এমন খাবার যেমন শাকসবজি, কলা, মিষ্টি আলু, ডিম, ডাল এবং অ্যাভোকাডো খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ ।

আর্দ্র থাকা

সর্বশেষ পরামর্শ হলো, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এটি শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক।

পানির মাধ্যমে শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় থাকে। শরীরের পানির অভাব রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তবে রক্তচাপ দ্রুত এবং প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম যে কোনো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।