ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৭ সময় ভিউ

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়েও পালিয়ে এসেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে তারা মিয়ানমারেই ফিরে যেতে চায়, কারণ সেটাই তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনই এই সংকটের প্রধান সমাধান বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়েও পালিয়ে এসেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে তারা মিয়ানমারেই ফিরে যেতে চায়, কারণ সেটাই তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনই এই সংকটের প্রধান সমাধান বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “রাখাইন রাজ্যে সংঘাত ও ব্যবস্থাগত নির্যাতন যতদিন না শেষ হবে, ততদিন আমাদের রোহিঙ্গাদের সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে।”

গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, “মানবিক সহায়তার বাজেট কমে গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় হবে। মানুষ কষ্ট পাবে, এমনকি মারা যাবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের বিশাল সহায়তা দিয়েছে। তারা নিজেদের ভূমি, বন, পানি ও সীমিত সম্পদ ভাগ করে নিয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার সময় এসেছে।”

গুতেরেস উল্লেখ করেন, “২০১৮ সালে আমি যখন কক্সবাজার এসেছিলাম, তখনও দেখেছি যে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। গ্রীষ্মে চরম গরম, বর্ষায় বন্যা ও ভূমিধসে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষকে শুধু খাদ্য সহায়তা দিলেই চলবে না, তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নও প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো বর্তমানে বাজেট সংকটে ভুগছে, যা রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “সমাধান খুঁজতে হবে মিয়ানমারে। আমরা হাল ছাড়ব না যতক্ষণ না পরিস্থিতি শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত হয়। ততদিন পর্যন্ত আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গারা বাড়ি ফিরতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব

বর্তমান সময় : ০২:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়েও পালিয়ে এসেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে তারা মিয়ানমারেই ফিরে যেতে চায়, কারণ সেটাই তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনই এই সংকটের প্রধান সমাধান বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়েও পালিয়ে এসেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে তারা মিয়ানমারেই ফিরে যেতে চায়, কারণ সেটাই তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনই এই সংকটের প্রধান সমাধান বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “রাখাইন রাজ্যে সংঘাত ও ব্যবস্থাগত নির্যাতন যতদিন না শেষ হবে, ততদিন আমাদের রোহিঙ্গাদের সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে।”

গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, “মানবিক সহায়তার বাজেট কমে গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় হবে। মানুষ কষ্ট পাবে, এমনকি মারা যাবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ রোহিঙ্গাদের বিশাল সহায়তা দিয়েছে। তারা নিজেদের ভূমি, বন, পানি ও সীমিত সম্পদ ভাগ করে নিয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার সময় এসেছে।”

গুতেরেস উল্লেখ করেন, “২০১৮ সালে আমি যখন কক্সবাজার এসেছিলাম, তখনও দেখেছি যে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। গ্রীষ্মে চরম গরম, বর্ষায় বন্যা ও ভূমিধসে ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষকে শুধু খাদ্য সহায়তা দিলেই চলবে না, তাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নও প্রয়োজন।”
জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো বর্তমানে বাজেট সংকটে ভুগছে, যা রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, “সমাধান খুঁজতে হবে মিয়ানমারে। আমরা হাল ছাড়ব না যতক্ষণ না পরিস্থিতি শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত হয়। ততদিন পর্যন্ত আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”