প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে ফরেন অফিস কনসাল্ট্যাশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তাদের নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
এবার এ নিয়ে মন্তব্য করল ভারত। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, প্রায় ১৫ বছর পর এই বৈঠক হলো। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ এখন বাংলাদেশে। এ ব্যাপারে ভারতের মতামত কী?
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অবগত আছি।’ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা অনেকবার বলেছি। আগেও বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সময়ও ব্যাপারটি স্পষ্ট করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত। একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের পাশে আমরা সব সময়ই রয়েছি।’ ট্রান্সশিপমেন্টে ব্যাখ্যায় রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে গত সপ্তাহে আমরা ঘোষণা দিয়েছি। আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে জট লেগে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, নতুন এই সিদ্ধান্তের আগে বাংলাদেশ ইস্যুতে আমরা কতটা এগিয়েছি, সেদিকে নজর দিন।’
তিনি বলেন, এই ঘোষণা বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানিতে প্রভাব ফেলেনি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আমি এভাবেই দেখি।’