ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০২:২৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ সময় ভিউ

পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে সরকারি খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি ও অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে।

তৎকালীন মাদারীপুর ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা ও বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক প্রমথ রঞ্জন ঘটক ও ২ জন সার্ভেয়ারসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পসহ ৫টি এলএ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকার সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেয়। ২৩টি চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয়। তৎকালিন এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতির সঙ্গে সারাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় দুদক।

একই সময় কর্মরত রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নামের দুই সার্ভেয়ারও জড়িত ছিল। স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদকের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রমথ রঞ্জন ঘটককে। এছাড়া সার্ভেয়ার রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারী, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোসনা বেগম, আখি বেগম, আলম আলী বেপারী, হাছিনা বেগম, আছমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান, সুধাংশু কুমার মন্ডল নামের এই ২০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

মাদারীপুর দুদকের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, ২০২২ সালে আমরা এ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা পাই। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে এ ঘটনার তথ্য-উপাত্তসহ প্রমাণ সংগ্রহ করার পর এ বিষয়ে মামলা করার অনুমোদন পাই। ৫ মার্চ বুধবার আমরা এ বিষয়ে মামলা করি। এখন আমরা আসামিদের আটক করার জন্য চেষ্টা করব। এ বিষয়ে দ্রুতই অভিযান শুরু করা হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বর্তমান সময় : ০২:২৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে সরকারি খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি ও অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে।

তৎকালীন মাদারীপুর ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা ও বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক প্রমথ রঞ্জন ঘটক ও ২ জন সার্ভেয়ারসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পসহ ৫টি এলএ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকার সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেয়। ২৩টি চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয়। তৎকালিন এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতির সঙ্গে সারাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় দুদক।

একই সময় কর্মরত রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নামের দুই সার্ভেয়ারও জড়িত ছিল। স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদকের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রমথ রঞ্জন ঘটককে। এছাড়া সার্ভেয়ার রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারী, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোসনা বেগম, আখি বেগম, আলম আলী বেপারী, হাছিনা বেগম, আছমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান, সুধাংশু কুমার মন্ডল নামের এই ২০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

মাদারীপুর দুদকের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, ২০২২ সালে আমরা এ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা পাই। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে এ ঘটনার তথ্য-উপাত্তসহ প্রমাণ সংগ্রহ করার পর এ বিষয়ে মামলা করার অনুমোদন পাই। ৫ মার্চ বুধবার আমরা এ বিষয়ে মামলা করি। এখন আমরা আসামিদের আটক করার জন্য চেষ্টা করব। এ বিষয়ে দ্রুতই অভিযান শুরু করা হবে।