ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

হিযবুত তাহরিরকে ভুল রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান খোমেনী ইহসানের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০৪:০১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ৩৫ সময় ভিউ

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরিরকে ভুল রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান।

শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে কখনো খেলাফত কায়েম হয়নি এবং কেউ খলিফা ছিল না৷ বরং এখানে শক্তিশালী স্বাধীন সার্বভৌম মুসলিম সালতানাত কায়েম ছিল। তাই এ দেশে যদি অতীতের ইসলামি গৌরব ফেরাতে হয় তাহলে মুসলিম সালতানাতের শাসন ব্যবস্থা ফেরাতে হবে এবং হারিয়ে ফেলা মানচিত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। কিন্তু হিযবুত তাহরিরসহ কিছু রাজনৈতিক গ্রুপ সালতানাতের বদলে খেলাফত কায়েমের কথা বলছে; যা ইতিহাসবিরোধী অযৌক্তিক দাবি।

এতে আরও বলা হয়, স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে যে গোটা আরবে কিংবা উসমানি খেলাফতের প্রাণকেন্দ্র তুরস্কে যখন খেলাফত কায়েমের আলাপ নেই, তখন বাংলাদেশে কেন এই হাস্যকর দাবি তোলা হচ্ছে? খোদ ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে যখন খেলাফত কায়েম হয়নি তখন বাংলাদেশে কোন কারণে খেলাফত কায়েম হবে?

বিবৃতিতে খোমেনী ইহসান আহ্বান জানিয়ে বলেন, হিযবুত তাহরিরসহ সব ইসলামি গ্রুপের উচিত হবে ভুল রাজনীতি পরিহার ও নিজ নিজ দল বিলুপ্ত করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে শামিল হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইয়ে শামিল হওয়া।

বিবৃতিতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল হিসেবে হিযবুত তাহরিরের মিছিলে বাধা দেওয়ায় সরকার ও জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানান খোমেনী ইহসান। তিনি বলেন, অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে বিব্রত করতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরির পবিত্র রমজানের ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট করে শোডাউনের চেষ্টা করেছে। তারা রোজাদার জনগণ, সরকার ও পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করে কষ্ট দিয়েছে৷ এ জন্য হিযবুত তাহরিরের ক্ষমা চাওয়া উচিত।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিযবুত তাহরিরকে ভুল রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান খোমেনী ইহসানের

বর্তমান সময় : ০৪:০১:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরিরকে ভুল রাজনীতি ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসান।

শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে কখনো খেলাফত কায়েম হয়নি এবং কেউ খলিফা ছিল না৷ বরং এখানে শক্তিশালী স্বাধীন সার্বভৌম মুসলিম সালতানাত কায়েম ছিল। তাই এ দেশে যদি অতীতের ইসলামি গৌরব ফেরাতে হয় তাহলে মুসলিম সালতানাতের শাসন ব্যবস্থা ফেরাতে হবে এবং হারিয়ে ফেলা মানচিত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। কিন্তু হিযবুত তাহরিরসহ কিছু রাজনৈতিক গ্রুপ সালতানাতের বদলে খেলাফত কায়েমের কথা বলছে; যা ইতিহাসবিরোধী অযৌক্তিক দাবি।

এতে আরও বলা হয়, স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে যে গোটা আরবে কিংবা উসমানি খেলাফতের প্রাণকেন্দ্র তুরস্কে যখন খেলাফত কায়েমের আলাপ নেই, তখন বাংলাদেশে কেন এই হাস্যকর দাবি তোলা হচ্ছে? খোদ ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে যখন খেলাফত কায়েম হয়নি তখন বাংলাদেশে কোন কারণে খেলাফত কায়েম হবে?

বিবৃতিতে খোমেনী ইহসান আহ্বান জানিয়ে বলেন, হিযবুত তাহরিরসহ সব ইসলামি গ্রুপের উচিত হবে ভুল রাজনীতি পরিহার ও নিজ নিজ দল বিলুপ্ত করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে শামিল হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইয়ে শামিল হওয়া।

বিবৃতিতে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল হিসেবে হিযবুত তাহরিরের মিছিলে বাধা দেওয়ায় সরকার ও জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানান খোমেনী ইহসান। তিনি বলেন, অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে বিব্রত করতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরির পবিত্র রমজানের ভাবগাম্ভীর্য বিনষ্ট করে শোডাউনের চেষ্টা করেছে। তারা রোজাদার জনগণ, সরকার ও পুলিশকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করে কষ্ট দিয়েছে৷ এ জন্য হিযবুত তাহরিরের ক্ষমা চাওয়া উচিত।