পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে শাসন করার অপরাধে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন কাকড়াবুনিয়া রাজেন স্মরণী (আরএস) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজী) মাসুদ রানা।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকালে ওই শিক্ষকের স্ত্রী নাদিরা আক্তার স্থানীয় সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২ অক্টোবর বেয়াদবির কারণে স্কুলছাত্রী বর্ণিতা সিকদারের হাতে দুটি বেতের আঘাত করেন শিক্ষক মাসুদ রানা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় মিমাংসা হলেও তাদের ক্ষোভ কমেনি।
যে কারণে আমার স্বামীকে ফাঁসাতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী (বর্ণিতা সিকদার) ভিটামিনের বোতলে বিষ এনে মেয়েদের কমনরুমে থাকা জগের পানিতে মিশিয়ে পান করে ইচ্ছাকৃতভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কমনরুমে বর্ণিতা সিকদার দীর্ঘ সময় একা দাঁড়িয়ে একটা কিছু ভাবছে বলে দেখেছে ৮ম শ্রেণির ৩ ছাত্রী। অসুস্থ বর্ণিতা সিকদারকে আমার স্বামী মাসুদ রানা ও অন্য শিক্ষকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। কিন্তু আমার স্বামীকে ফাঁসাতে ওই ছাত্রীর অভিভাবকেরা স্বেচ্ছায় বরিশালে ও ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। যার প্রমাণাদি ডাক্তারি রেজিস্ট্রি খাতায় রয়েছে। এ ঘটনায় পেছনের শত্রুতা গোপন রেখে শিক্ষক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর মা জ্যোৎস্না রানী মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। বর্তমানে আমার স্বামী জেলহাজতে রয়েছেন। এই পরিবারটি একটি মামলাবাজ পরিবার হিসেবে খ্যাত। আমি তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষকের ভাতিজা সোহেল আহম্মেদ, শাশুড়ি তাসলিমা বেগম ও নিকট আত্মীয় রুস্তুম হাওলাদার।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।