ঢাকা , সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে এবার শেখ হাসিনার ছবি লাগানো ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ রাজউক উত্তরা অফিস মতিঝিলে একিভূত করার আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট খাল খনন উদ্বোধনে লাল গালিচা, ব্যাখ্যা দিলো ডিএনসিসি বিএনপির পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের বিশুদ্ব পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ বগুড়ার শেরপুর শহরে উড়ালসড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন একুশের টান দুঃসাহসী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, মানুষের ভোগান্তি ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি, ময়লা ফেললেন প্রেসসচিব সরকারের সহায়তা নিয়ে নতুন দল গঠন করলে জনগণ মেনে নিবে না- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সংবিধান সংশোধনের আগেই কমছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০৮:১১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩৩ সময় ভিউ

সংবিধান সংশোধনের আগেই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে নিয়োগদানে প্রধানমন্ত্রীর একচেটিয়া ক্ষমতা থাকছে না। সম্প্রতি সংবিধান সংশোধন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগে ইতোমধ্যে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন একটি স্বাধীন বিচারক নিয়োগ কমিশন (জেএসি) গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিশন প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ বিচারকদের নেতৃত্বে বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করবে, ফলে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ কমবে। এটি মূলত সংবিধান সংশোধন না করেই কার্যকর করা হবে।

অন্যদিকে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সুস্পষ্ট এবং সরকারের সুপারিশের ভিত্তিতে করা হবে। এ ছাড়া, অন্যান্য সাংবিধানিক পদ যেমন নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমিয়ে সমতা আনার জন্য নতুন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন করার সুপারিশ। প্রস্তাবিত ৯ সদস্যের কাউন্সিলের সদস্য হবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্ন ও উচ্চকক্ষের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত দুই কক্ষের ডেপুটি স্পিকার, সংসদের অন্যান্য দল থেকে একজন সদস্য।

এনসিসির পাঠানো নাম থেকে নির্বাচন কমিশনার, দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার, অ্যাটর্নি জেনারেল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কিছু রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও জামায়াতে ইসলামী এসব সুপারিশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

সংবিধান সংশোধনের আগেই কমছে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা

বর্তমান সময় : ০৮:১১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

সংবিধান সংশোধনের আগেই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে নিয়োগদানে প্রধানমন্ত্রীর একচেটিয়া ক্ষমতা থাকছে না। সম্প্রতি সংবিধান সংশোধন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগে ইতোমধ্যে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন একটি স্বাধীন বিচারক নিয়োগ কমিশন (জেএসি) গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিশন প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ বিচারকদের নেতৃত্বে বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করবে, ফলে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ কমবে। এটি মূলত সংবিধান সংশোধন না করেই কার্যকর করা হবে।

অন্যদিকে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সুস্পষ্ট এবং সরকারের সুপারিশের ভিত্তিতে করা হবে। এ ছাড়া, অন্যান্য সাংবিধানিক পদ যেমন নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা কমিয়ে সমতা আনার জন্য নতুন কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে।

এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন করার সুপারিশ। প্রস্তাবিত ৯ সদস্যের কাউন্সিলের সদস্য হবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, নিম্ন ও উচ্চকক্ষের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধী দল মনোনীত দুই কক্ষের ডেপুটি স্পিকার, সংসদের অন্যান্য দল থেকে একজন সদস্য।

এনসিসির পাঠানো নাম থেকে নির্বাচন কমিশনার, দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনার, অ্যাটর্নি জেনারেল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।

এ পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমবে এবং সরকারের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কিছু রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও জামায়াতে ইসলামী এসব সুপারিশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।