বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমার দেশের কী হচ্ছে না হচ্ছে, আমাদের সরকার আছে, বিরোধী দল আছে, জনগণ আছে, আইনকানুন আছে, তারা কথা বলবে। আপনারা কারা যে অন্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন? আজ ভারত শেখ হাসিনার দোসরদের বাগানবাড়িতে পরিণত হয়েছে। কারণ হাসিনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। ভারত যা চাইত, শেখ হাসিনা ভারতকে তা-ই দিয়ে দিতেন। এভাবে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে জুলাই আন্দোলনের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন পার্ক শহিদ মিনারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।
রিজভী বলেন, প্রায়ই দেখি ভারত যুক্তরাষ্ট্রে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করে। আজকেও সংবাদপত্রে দেখলাম, ভারত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করছে। কেন? বাংলাদেশে সরকার নেই? এটি একটি স্বাধীন দেশ নয়? এর একটি স্বাধীন পতাকা আছে, জাতীয় সংগীত আছে। আপনি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র, আলাদা স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশকে নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যথা কেন? বাংলাদেশ নিয়ে অন্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?
বিএনপি কারও কাছে মাথানত করে না দাবি করে রিজভী বলেন, বিএনপির জনসমর্থন দেখে শেখ হাসিনা ভয় পেতেন। ওনার টার্গেটই ছিল বিএনপিকে ধ্বংস করা। কারণ বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে। বিএনপি কারও কাছে মাথানত করে না। সে যত বড়ই দেশ হোক। কোনো প্রভুকে প্রভু বলে বিএনপি মানতে চায় না। এটাই হচ্ছে বিএনপির অপরাধ।
শেখ হাসিনা ছিলেন লুটেরা, একটা দস্যু দলের সর্দারনি— এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘হিটলার ফ্যাসিস্ট ছিল, কিন্তু দেশপ্রেমও ছিল তার মধ্যে। হাসিনা তার কাছ থেকে ফ্যাসিস্ট হওয়া শিখেছিল, কিন্তু দেশপ্রেম শেখেননি। তার আমলে কিসের আদালত, কিসের আইন, কিসের বিচার? শেখ হাসিনা যা বলত তা-ই হতো। কোনোকিছুই তিনি মানতেন না। তিনি ছিলেন এমন ফ্যাসিস্ট।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আমরা বিএনপি পরিবারের সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন। স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন। আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আবুল কাশেম, মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, আশরাফ উদ্দিন বকুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।