ঢাকা , রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

ভৈরব থেকে মেন্দিপুর সড়কে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০৪:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১৬ সময় ভিউ

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব : দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ভৈরব হইতে মেন্দিপুর ১৪ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সাদেকপুর, শ্রীনগর, ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের একমাত্র যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি এখন মানুষের দুর্ভোগের কারণ। মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তা। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগী মানুষের।

সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভৈরব থেকে মেন্দিপুর ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তখন মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। শুকনো মৌসুমে ধুলু বালিতে মানুষের মাঝে দেখা দেয় সর্দি কাশি। এছাড়াও অসুস্থদের পরিবহনে করে হাসপাতালে নেয়া যায় না। যানবাহনে করে রোগীদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে রোগী আরো মুমূর্ষু হয়ে পড়ে। ফলে সেবা নিতে সদর হাসপাতাল বা কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে যাবার ইচ্ছা থাকলেও রাস্তার দুর্ভোগের কারণে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। রাস্তা খারাপ থাকায় সচরাচর যানবাহনও এ রাস্তায় চলাচল করে না। যদিও গুটি কয়েকটি চলাচল করে সেক্ষেত্রে চালকরা যাত্রীদের কাছে ভাড়া দাবি করে দ্বিগুণ। সিএনজি অটোরিকশা পর্যাপ্ত চলাচল না করায় অনেক সময় শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা সময় মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিজীবীরা অফিসে পৌঁছাতে পারে না। এ সড়কে চলাচল করলে গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয় এমন অভিযোগ সিএনজি আর অটো রিকশা চালকদের। সাধারণ মানুষ বলছেন মাঝে মধ্যে যদিও রিকশা সিএনজিতে করে আসি তখন দেখা যায় রাস্তা ভাঙ্গাচোড়ার কারণে অনেক সময় ছিনতাইকারীরা আক্রমণ করে তাই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।

এলাকাবাসী খোরশিদ মিয়া বলেন, উত্তরপাড়া থেকে এখানে হাইস্কুলে আসতে একজন শিক্ষার্থীর এক ঘণ্টা সময় লাগে। অথচ সিএনজি বা অটো রিকশা দিয়ে আসতে লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। সেখানে এক ঘণ্টা হাঁটার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর লেখা পড়া থেকে তাদের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে।

সাদেকপুর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো ঃ ইন্তাজ মিয়া বলেন, বর্তমানে ভৈরব থেকে মেন্দিপুর রাস্তাটি এতই খারাপ যে কোন গাড়িতেই উঠা যায় না। পনেরো মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। আসা যাওয়া দুই ঘণ্টার জার্নিতে বাড়িতে আসার পর আরো একদিন পুরো বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।

নসিমন চালক নাছির মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাড়ি চালানো বড়ই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আগে যেখানে দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি ট্রিপ মারতে পারতাম এখন সেখানে দুই ট্রিপের বেশি মারা যায় না। রাস্তার ভাঙ্গাচোড়ার কারণে কয়েকদিন পরপরই গাড়িতে কাজ করাতে হয়।

সিএনজি চালক আবুল মিয়া বলেন, গাড়ি চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। যাত্রীদের অবস্থাতো আরো খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া ছয় মাস পর পর গাড়ির ইঞ্জিন ডাউন দিতে হয় এতে আমাদের বেশ কিছু টাকা খরচ বাড়ে।
অপর চালক সজীব মিয়া বলেন, আমাদের রোজী রোগার অনেক কমে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে একটা টিপ মারলে পরবর্তীতে আর ভাড়া মারার আগ্রহ থাকেনা। গাড়ির যন্ত্রাংশেরও অনেক ক্ষতি হয়।
রসুলপুর এলাকার ব্যবসায়ী সোলেমান মিয়া জানান, রাস্তার দুর্ভোগে ভৈরব থেকে মালামাল আনা নেওয়া করা যাচ্ছেনা। যদিও কোন গাড়িতে আনা নেওয়া করি সেক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যায়।

অপর ব্যবসায়ী মোরাদ মিয়া বলেন, এ রাস্তা এখন মানুষের চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী। আমি ভৈরব বাজার থেকে একশত ডিম নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। অর্ধেক রাস্তা আসতেই বেশ কয়েকটি ডিম ভেঙ্গে গিয়েছে। এই রাস্তা যেন আমাদের মরণ ফাঁদ।

চল্লিশোর্ধ্ব গৃহিণী জোবায়দা বেগম বলেন, মেন্দিপুর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রিকশায় করে এসেছি। এতেই আমার কোমড়ে ব্যথা হয়ে গেছে। এখন চিকিৎসকের কাছে এসেছি ব্যথা কমার ঔষধের জন্য।
ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা নুর জাহান বেগম বলেন, আমি ভৈরব থেকে মেন্দিপুর যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যেই আমার হাড়গোড়ের ব্যথায় কাতর হয়ে গেছি। জানি না এ ব্যথায় আমাকে আরো কতদিন ভুগতে হবে। ডাক্তার অনেক দুরে হওয়ায় চিকিৎসা নিতে ঐখানে যাওয়া আর সম্ভবনা।

সহিদ মিয়া বলেন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় বেশ কয়েকজন গর্ভবতী মহিলার পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি আমার পুত্র বধুরও পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।

সুমন আহমেদ বলেন, এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে না পারায় আমরা এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে টাকা খরচ করে রাস্তার কিছুটা সংস্কার করেছি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন রাস্তাটির সংস্কার করে আমাদের দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, এই রাস্তাটির জন্য মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি শুধু একটা ইউনিয়ন বা শুধু পৌরসভা না। পৌরসভা থেকে শুরু করে কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত এ সড়ক দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। এতবড় একটি জনগুষ্টির সাথে সম্পৃক্ত যে রাস্তা সেটার দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। উপজেলা পর্যায়ের রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্মকর্তা এবং ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আমি এ বিষয়ে কথা বলব যাতে করে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার কাজ করা হয়।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভৈরব থেকে মেন্দিপুর সড়কে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

বর্তমান সময় : ০৪:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব : দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ভৈরব হইতে মেন্দিপুর ১৪ কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সাদেকপুর, শ্রীনগর, ও শিমুলকান্দি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের একমাত্র যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটি এখন মানুষের দুর্ভোগের কারণ। মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তা। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার করে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করে দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগী মানুষের।

সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিদিন শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভৈরব থেকে মেন্দিপুর ১৪ কিলোমিটার রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে তখন মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। শুকনো মৌসুমে ধুলু বালিতে মানুষের মাঝে দেখা দেয় সর্দি কাশি। এছাড়াও অসুস্থদের পরিবহনে করে হাসপাতালে নেয়া যায় না। যানবাহনে করে রোগীদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে রোগী আরো মুমূর্ষু হয়ে পড়ে। ফলে সেবা নিতে সদর হাসপাতাল বা কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে যাবার ইচ্ছা থাকলেও রাস্তার দুর্ভোগের কারণে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না। রাস্তা খারাপ থাকায় সচরাচর যানবাহনও এ রাস্তায় চলাচল করে না। যদিও গুটি কয়েকটি চলাচল করে সেক্ষেত্রে চালকরা যাত্রীদের কাছে ভাড়া দাবি করে দ্বিগুণ। সিএনজি অটোরিকশা পর্যাপ্ত চলাচল না করায় অনেক সময় শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা সময় মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিজীবীরা অফিসে পৌঁছাতে পারে না। এ সড়কে চলাচল করলে গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয় এমন অভিযোগ সিএনজি আর অটো রিকশা চালকদের। সাধারণ মানুষ বলছেন মাঝে মধ্যে যদিও রিকশা সিএনজিতে করে আসি তখন দেখা যায় রাস্তা ভাঙ্গাচোড়ার কারণে অনেক সময় ছিনতাইকারীরা আক্রমণ করে তাই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।

এলাকাবাসী খোরশিদ মিয়া বলেন, উত্তরপাড়া থেকে এখানে হাইস্কুলে আসতে একজন শিক্ষার্থীর এক ঘণ্টা সময় লাগে। অথচ সিএনজি বা অটো রিকশা দিয়ে আসতে লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। সেখানে এক ঘণ্টা হাঁটার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর লেখা পড়া থেকে তাদের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে।

সাদেকপুর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো ঃ ইন্তাজ মিয়া বলেন, বর্তমানে ভৈরব থেকে মেন্দিপুর রাস্তাটি এতই খারাপ যে কোন গাড়িতেই উঠা যায় না। পনেরো মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। আসা যাওয়া দুই ঘণ্টার জার্নিতে বাড়িতে আসার পর আরো একদিন পুরো বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।

নসিমন চালক নাছির মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাড়ি চালানো বড়ই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। আগে যেখানে দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি ট্রিপ মারতে পারতাম এখন সেখানে দুই ট্রিপের বেশি মারা যায় না। রাস্তার ভাঙ্গাচোড়ার কারণে কয়েকদিন পরপরই গাড়িতে কাজ করাতে হয়।

সিএনজি চালক আবুল মিয়া বলেন, গাড়ি চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। যাত্রীদের অবস্থাতো আরো খারাপ হয়ে যায়। তাছাড়া ছয় মাস পর পর গাড়ির ইঞ্জিন ডাউন দিতে হয় এতে আমাদের বেশ কিছু টাকা খরচ বাড়ে।
অপর চালক সজীব মিয়া বলেন, আমাদের রোজী রোগার অনেক কমে গেছে। এ রাস্তা দিয়ে একটা টিপ মারলে পরবর্তীতে আর ভাড়া মারার আগ্রহ থাকেনা। গাড়ির যন্ত্রাংশেরও অনেক ক্ষতি হয়।
রসুলপুর এলাকার ব্যবসায়ী সোলেমান মিয়া জানান, রাস্তার দুর্ভোগে ভৈরব থেকে মালামাল আনা নেওয়া করা যাচ্ছেনা। যদিও কোন গাড়িতে আনা নেওয়া করি সেক্ষেত্রে খরচ অনেক বেড়ে যায়।

অপর ব্যবসায়ী মোরাদ মিয়া বলেন, এ রাস্তা এখন মানুষের চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী। আমি ভৈরব বাজার থেকে একশত ডিম নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। অর্ধেক রাস্তা আসতেই বেশ কয়েকটি ডিম ভেঙ্গে গিয়েছে। এই রাস্তা যেন আমাদের মরণ ফাঁদ।

চল্লিশোর্ধ্ব গৃহিণী জোবায়দা বেগম বলেন, মেন্দিপুর থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রিকশায় করে এসেছি। এতেই আমার কোমড়ে ব্যথা হয়ে গেছে। এখন চিকিৎসকের কাছে এসেছি ব্যথা কমার ঔষধের জন্য।
ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা নুর জাহান বেগম বলেন, আমি ভৈরব থেকে মেন্দিপুর যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যেই আমার হাড়গোড়ের ব্যথায় কাতর হয়ে গেছি। জানি না এ ব্যথায় আমাকে আরো কতদিন ভুগতে হবে। ডাক্তার অনেক দুরে হওয়ায় চিকিৎসা নিতে ঐখানে যাওয়া আর সম্ভবনা।

সহিদ মিয়া বলেন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় বেশ কয়েকজন গর্ভবতী মহিলার পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি আমার পুত্র বধুরও পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।

সুমন আহমেদ বলেন, এ রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে না পারায় আমরা এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে টাকা খরচ করে রাস্তার কিছুটা সংস্কার করেছি। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন রাস্তাটির সংস্কার করে আমাদের দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, এই রাস্তাটির জন্য মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি শুধু একটা ইউনিয়ন বা শুধু পৌরসভা না। পৌরসভা থেকে শুরু করে কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত এ সড়ক দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। এতবড় একটি জনগুষ্টির সাথে সম্পৃক্ত যে রাস্তা সেটার দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। উপজেলা পর্যায়ের রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্মকর্তা এবং ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আমি এ বিষয়ে কথা বলব যাতে করে রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার কাজ করা হয়।