ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের অনুষ্ঠানে অতিথির আসনে বসা আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ডিবি হারুন আমাকে পার্সোনালি ফোন দিয়ে ডাকতো: ডাক্তার সাবরিনা ‘মেয়েটার জন্য কলঙ্কিত হলেন বাবা’, এবার শেখ হাসিনাকে তুলোধুনো করল ভারতীয় মিডিয়া! পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দুবাইয়ে অণুষ্ঠিত হলো বাংলানেক্সট জমকালো আয়োজন “মাটির টানে রঙের বৈশাখ” সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত এসপি অনির্বান গ্রেপ্তার ফিরে এলেন আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ ২৪-এর বীরেরা ‘চরিত্র হননের চেষ্টা’: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর দুদককে পাল্টা আক্রমণ টিউলিপের ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই: মির্জা ফখরুল
ভুয়া গণধর্ষণের মামলা: বরিশালে অবস্থান করেও গণধর্ষণের মামলার আসামি হলেন ঢাকায়

বরিশালে অবস্থান: গণধর্ষণের মামলায় ১নং আসামি হলেন ঢাকায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০২:১৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ২৪ সময় ভিউ

সাংবাদিকতার মূল দায়িত্ব হলো সত্যকে তুলে ধরা, মিথ্যার মুখোশ খুলে ফেলা। কিন্তু আজকের যুগে গুজব, ভুয়া খবর আর বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত সত্যকে খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জের। তেমনি একটি ভিত্তিহীন সংবাদের এক নাম্বার আসামি হলেন গনমাধ্যমকর্মী মোঃ সাইফুল্লাহ। সকল প্রকার তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে প্রকৃত ঘটনায় জানা যায় ঘটনার দিন মোঃ সাইফুল্লার ছিলেন বরিশালে। এখন প্রশ্ন হল বরিশালে থাকা অবস্থায় ঢাকার গণধর্ষণ মামলার আসামি হলেন কিভাবে? ঘটনার সত্যতা তুলে আনতে গেলে আমাদের যেতে হবে ঘটনার ভেতরে আসল ঘটনায়। সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘটনা, যা ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে ঢাকার কাফরুল থানা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে সংঘটিত এক গণধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় যে, কাফরুল থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই নেক্কারজনক ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি, মোঃ সাইফুল্লাহ, ঘটনার দিন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলশকাঠিতে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ বিষয়ে একটি বড় প্রশ্ন উঠে আসে, তা হল, কীভাবে গণমাধ্যম কর্মীরা নিশ্চিত হলেন যে সাইফুল্লাহ ওই দিন বরিশালে ছিলেন। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায় যে, ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সাইফুল্লাহর মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করা হয়, যেখানে প্রমাণ মেলে যে তিনি ওই সময় বরিশালেই অবস্থান করছিলেন। তাহলে কি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ছিল? যে নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি পেশাদার পতিতা হিসেবে পরিচিত এবং এর আগে একাধিকবার পতিতা বৃত্তির অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। প্রশ্ন হলো কেন সাইফুল্লাহকে এই ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, সাইফুল্লাহ ও ধর্ষণের শিকার নারীর বান্ধবীর মধ্যে বিরোধের কারণে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাইফুল্লাহকে এই অভিযোগে জড়ানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এখনও মূল সত্য বের করা সম্ভব হয়নি। মোঃ সাইফুল্লাহ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন এবং তাহার এক বিবাদী গ্রুপের মামলায় সাইফুল্লাহ পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাদী হিসেবে হাজিরা দিয়েছেন যাহার সারটিফাই কপি প্রকাশ করা হবে। এছাড়া সাইফুল্লাহ অন্য একটা মামলার বাদী হিসেবে গত ১৯/২/২৫ তারিখ ঢাকা জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখি তার ভাই গুলজার গণধর্ষণ মামলার মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার এক বিবাদী মোঃ সাইফুল্লাহকে চিহ্নিত করার জন্য মিথ্যা মামলার বাদীকে উক্ত এডিএম কোর্টের ভিতর বসিয়ে রাখে এবং চিনিয়ে দেয়। এছাড়া উক্ত গনধর্ষণ মামলায় বিবাদী সাইফুল্লাহর এনআইডি অনুযায়ী নাম ঠিকানা দেয়। যা একমাত্র আফরোজা আক্তার আঁখি এর কাছে এবং আদালতে এবং বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখির আইনজীবীর কাছে রয়েছে। এছাড়া গত উনিশ তারিখ বাদী সাইফুল্লাহ এর আইনজীবীকে মিমাংসার কথা বলে হোটেলে খাবে আপোষ মিমাংসার জন্য, আলোচনা করবে বলে বিজ্ঞ সিএমএম কোর্ট ঢাকা এর লোহার গেইটের বাহিরে গেলে বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখি এবং তার ভাই গুলজার ধস্তাধস্তি করে। কাফরুল থানার ওসি তদন্ত রুবেল মল্লিক এবং এসআই বাসার সাইফুল্লাহকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন সাইফুল্লাহ এর এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন এবং মহুরী রোকন এছাড়া গেটের বাহিরে থাকা আইনজীবীরা এসআই বাসারকে পেপারস দেখাতে বললে এসআই বাসার বলেন- পেপার দেখানো যাবে না। এরপর বেশ কিছু আইনজীবী মিলে সাইফুল্লাহকে এক পর্যায়ে রেখে দেয় এবং সাইফুল্লাহ এর আইনজীবী আহত হয়। এতে প্রমাণিত হয় বাদী সাইফুল্লাহকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখি পরিকল্পিত ভাবে কাফরুল থানার কোনো কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে এই ন্যাক্কারজনক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য জড়িয়ে দিয়েছে যা সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে দেখা সাইফুল্লাহ এর বিবাদী আফরোজা এবং গণধর্ষণ মামলার বাদী কথিত নাসরিন এবং সাইফুল্লাহর আইনজীবী এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন। গনধর্ষণ মামলায় বিবাদী সাইফুল্লাহকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এটাই কি যথেষ্ট প্রমাণ বহন করে না? ঢাকা সিএমএম কোর্টের সামনে সিসি ফুটেজ এবং বিবাদী সাইফুল্লাহর ০১৭২৪৭৬৫*** নাম্বার এর সিডি আর গণধর্ষণ মামলার ঘটিত সময়ের সাথে যদি মিলিয়ে দেখা হয় তাহলে দেখা যায়, সে ১/২/২৫ তারিখ থেকে ৪/২/২৫ বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত নিজ বাড়ি তথা বরিশাল নথুল্লাবাদ অবস্থান। আরো উল্লেখ্য থাকে যে, গত ১৯/২/২৫ তারিখ যে পরিস্থিতি কাফরুল থানার ওসি তদন্ত রুবেল মল্লিক এবং এসআই বাসার কাগজ পত্র ছাড়া হেনস্তা করেছে এবং সাইফুল্লাহ যে মামলার বাদী সেই মামলার আসামি এসআই বাসার এর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। ঢাকা সিএমএম কোর্ট এর সামনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে আরো স্পষ্ট হবে যে গণধর্ষণ মামলায় মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য আফরোজা আক্তার আঁখি দায়ী হবে। তার সাথে আফরোজা আক্তার আঁখি এর কথিত স্বামী (ছদ্মনাম) আলামিন কুয়েত থাকে সে এবং আবুল হোসেন সবুজ আল হায়াত আবাসিক হোটেল সায়েদাবাদ জনপথ মোড় যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এরা একটা প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। এ বিষয়ে কাফরুল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রতিবেদককে জানান, আমি নতুন এসেছি ।এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিষয়টি দেখা হবে। গনধর্ষণ মামলার বিবাদী সাইফুল্লাহর প্রতিবেশী আফরোজা আক্তার আঁখি সাইফুল্লাহ এর কাছে থেকে জোর করে আটকিয়ে, একটা চক্র দিয়ে এর আগে প্রশাসন ছাড়া, মামলা ছাড়া হ্যানক্যাফ পড়িয়ে মারধর করে, কাবিন নামায় স্বাক্ষর নেয় এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। যে ঘটনার সাথে কথিত স্বামী আলামিন কুয়েত, আবুল হোসেন সবুজ গোল্ডেন আলী ওরফে সোহেল সরকার জড়িত ছিল। এরপর যখন এদের বিরুদ্ধে মোঃ সাইফুল্লাহ মামলা দায়ের করে এই মামলায় আফরোজা আক্তার আঁখি বুঝতে পারে যে স্বাক্ষী হয়ে গেলে সে ফেঁসে যাবে। তাই গণধর্ষণ মামলার বাদী আফরোজা আক্তার এর চক্রের সদস্য ও বান্ধবীকে দিয়ে সাইফুল্লাহকে এক নাম্বার আসামি করানো হয়। এছাড়া ১৯/২/২৫ তারিখ সিএমএম আদালতের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর আফরোজা আক্তার আঁখি এবং কথিত স্বামী আলামিন কুয়েত থেকে সাইফুল্লাহ এর হোয়াটসঅ্যাপ এ বিভিন্ন ভাবে ফোন দেয়। যার স্ক্রীন সর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে এবং ইমু আইডিতে আলামিন পোষ্ট দিয়েছে- চাচা তৈরি থাকো দুই একদিনের মধ্যে তোমার গ্রামের বাড়িতে আরো দুইটা ওয়ারেন্ট এর কপি যাইবে, আমি গাজীপুরের পোলা ১০০ টাকা তোলা। সাইফুল্লাহ যেখানে বরিশালের তার নিজ বাড়িতে তার ব্যক্তিগত, মিডিয়ার কাজ ও মামলা সংক্রান্ত কাজে অবস্থানরত অথচ সাইফুল্লাহ গণধর্ষণ মামলার এক নাম্বার আসামি এবং মামলার ওয়ারেন্ট যাচ্ছে বাড়িতে এই ধরনের আগাম কথা কিভাবে বলে কথিত আলামিন!! সেক্ষেত্রে কথিত আলামিনকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এর মাধ্যমে এই ধরনের কার্যক্রম এর জন্য তলব করা হোক এবং বাংলাদেশের কথিত আলামিন এর স্ত্রী আফরোজা আক্তার আঁখিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হোক বাদীকে ও জিজ্ঞাসা করা হোক। এমন মিথ্যে ও বানোয়াট ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল্লাকে হেনস্থা করায় ঢাকা শহর সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক মহল উদ্বিগ্ন। এমন ন্যাক্কার জন্য ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল্লাহকে মিথ্যে জড়ানো, তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিকভাবে আর্থিক ক্ষতি করার জন্য যে চক্র মহলটি উঠে পড়ে লেগেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা না গেলে ভবিষ্যতে হয়তো অন্য কারো জীবন নষ্ট হতে পারে।।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল

ভুয়া গণধর্ষণের মামলা: বরিশালে অবস্থান করেও গণধর্ষণের মামলার আসামি হলেন ঢাকায়

বরিশালে অবস্থান: গণধর্ষণের মামলায় ১নং আসামি হলেন ঢাকায়

বর্তমান সময় : ০২:১৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

সাংবাদিকতার মূল দায়িত্ব হলো সত্যকে তুলে ধরা, মিথ্যার মুখোশ খুলে ফেলা। কিন্তু আজকের যুগে গুজব, ভুয়া খবর আর বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত সত্যকে খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জের। তেমনি একটি ভিত্তিহীন সংবাদের এক নাম্বার আসামি হলেন গনমাধ্যমকর্মী মোঃ সাইফুল্লাহ। সকল প্রকার তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে প্রকৃত ঘটনায় জানা যায় ঘটনার দিন মোঃ সাইফুল্লার ছিলেন বরিশালে। এখন প্রশ্ন হল বরিশালে থাকা অবস্থায় ঢাকার গণধর্ষণ মামলার আসামি হলেন কিভাবে? ঘটনার সত্যতা তুলে আনতে গেলে আমাদের যেতে হবে ঘটনার ভেতরে আসল ঘটনায়। সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘটনা, যা ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে ঢাকার কাফরুল থানা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে সংঘটিত এক গণধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় যে, কাফরুল থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই নেক্কারজনক ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তি, মোঃ সাইফুল্লাহ, ঘটনার দিন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলশকাঠিতে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ বিষয়ে একটি বড় প্রশ্ন উঠে আসে, তা হল, কীভাবে গণমাধ্যম কর্মীরা নিশ্চিত হলেন যে সাইফুল্লাহ ওই দিন বরিশালে ছিলেন। সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায় যে, ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সাইফুল্লাহর মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষা করা হয়, যেখানে প্রমাণ মেলে যে তিনি ওই সময় বরিশালেই অবস্থান করছিলেন। তাহলে কি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ছিল? যে নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি পেশাদার পতিতা হিসেবে পরিচিত এবং এর আগে একাধিকবার পতিতা বৃত্তির অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। প্রশ্ন হলো কেন সাইফুল্লাহকে এই ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, সাইফুল্লাহ ও ধর্ষণের শিকার নারীর বান্ধবীর মধ্যে বিরোধের কারণে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাইফুল্লাহকে এই অভিযোগে জড়ানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এখনও মূল সত্য বের করা সম্ভব হয়নি। মোঃ সাইফুল্লাহ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন এবং তাহার এক বিবাদী গ্রুপের মামলায় সাইফুল্লাহ পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাদী হিসেবে হাজিরা দিয়েছেন যাহার সারটিফাই কপি প্রকাশ করা হবে। এছাড়া সাইফুল্লাহ অন্য একটা মামলার বাদী হিসেবে গত ১৯/২/২৫ তারিখ ঢাকা জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখি তার ভাই গুলজার গণধর্ষণ মামলার মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার এক বিবাদী মোঃ সাইফুল্লাহকে চিহ্নিত করার জন্য মিথ্যা মামলার বাদীকে উক্ত এডিএম কোর্টের ভিতর বসিয়ে রাখে এবং চিনিয়ে দেয়। এছাড়া উক্ত গনধর্ষণ মামলায় বিবাদী সাইফুল্লাহর এনআইডি অনুযায়ী নাম ঠিকানা দেয়। যা একমাত্র আফরোজা আক্তার আঁখি এর কাছে এবং আদালতে এবং বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখির আইনজীবীর কাছে রয়েছে। এছাড়া গত উনিশ তারিখ বাদী সাইফুল্লাহ এর আইনজীবীকে মিমাংসার কথা বলে হোটেলে খাবে আপোষ মিমাংসার জন্য, আলোচনা করবে বলে বিজ্ঞ সিএমএম কোর্ট ঢাকা এর লোহার গেইটের বাহিরে গেলে বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখি এবং তার ভাই গুলজার ধস্তাধস্তি করে। কাফরুল থানার ওসি তদন্ত রুবেল মল্লিক এবং এসআই বাসার সাইফুল্লাহকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন সাইফুল্লাহ এর এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন এবং মহুরী রোকন এছাড়া গেটের বাহিরে থাকা আইনজীবীরা এসআই বাসারকে পেপারস দেখাতে বললে এসআই বাসার বলেন- পেপার দেখানো যাবে না। এরপর বেশ কিছু আইনজীবী মিলে সাইফুল্লাহকে এক পর্যায়ে রেখে দেয় এবং সাইফুল্লাহ এর আইনজীবী আহত হয়। এতে প্রমাণিত হয় বাদী সাইফুল্লাহকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য বিবাদী আফরোজা আক্তার আঁখি পরিকল্পিত ভাবে কাফরুল থানার কোনো কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে এই ন্যাক্কারজনক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য জড়িয়ে দিয়েছে যা সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে দেখা সাইফুল্লাহ এর বিবাদী আফরোজা এবং গণধর্ষণ মামলার বাদী কথিত নাসরিন এবং সাইফুল্লাহর আইনজীবী এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন। গনধর্ষণ মামলায় বিবাদী সাইফুল্লাহকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এটাই কি যথেষ্ট প্রমাণ বহন করে না? ঢাকা সিএমএম কোর্টের সামনে সিসি ফুটেজ এবং বিবাদী সাইফুল্লাহর ০১৭২৪৭৬৫*** নাম্বার এর সিডি আর গণধর্ষণ মামলার ঘটিত সময়ের সাথে যদি মিলিয়ে দেখা হয় তাহলে দেখা যায়, সে ১/২/২৫ তারিখ থেকে ৪/২/২৫ বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত নিজ বাড়ি তথা বরিশাল নথুল্লাবাদ অবস্থান। আরো উল্লেখ্য থাকে যে, গত ১৯/২/২৫ তারিখ যে পরিস্থিতি কাফরুল থানার ওসি তদন্ত রুবেল মল্লিক এবং এসআই বাসার কাগজ পত্র ছাড়া হেনস্তা করেছে এবং সাইফুল্লাহ যে মামলার বাদী সেই মামলার আসামি এসআই বাসার এর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে। ঢাকা সিএমএম কোর্ট এর সামনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে আরো স্পষ্ট হবে যে গণধর্ষণ মামলায় মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য আফরোজা আক্তার আঁখি দায়ী হবে। তার সাথে আফরোজা আক্তার আঁখি এর কথিত স্বামী (ছদ্মনাম) আলামিন কুয়েত থাকে সে এবং আবুল হোসেন সবুজ আল হায়াত আবাসিক হোটেল সায়েদাবাদ জনপথ মোড় যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এরা একটা প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। এ বিষয়ে কাফরুল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রতিবেদককে জানান, আমি নতুন এসেছি ।এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিষয়টি দেখা হবে। গনধর্ষণ মামলার বিবাদী সাইফুল্লাহর প্রতিবেশী আফরোজা আক্তার আঁখি সাইফুল্লাহ এর কাছে থেকে জোর করে আটকিয়ে, একটা চক্র দিয়ে এর আগে প্রশাসন ছাড়া, মামলা ছাড়া হ্যানক্যাফ পড়িয়ে মারধর করে, কাবিন নামায় স্বাক্ষর নেয় এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। যে ঘটনার সাথে কথিত স্বামী আলামিন কুয়েত, আবুল হোসেন সবুজ গোল্ডেন আলী ওরফে সোহেল সরকার জড়িত ছিল। এরপর যখন এদের বিরুদ্ধে মোঃ সাইফুল্লাহ মামলা দায়ের করে এই মামলায় আফরোজা আক্তার আঁখি বুঝতে পারে যে স্বাক্ষী হয়ে গেলে সে ফেঁসে যাবে। তাই গণধর্ষণ মামলার বাদী আফরোজা আক্তার এর চক্রের সদস্য ও বান্ধবীকে দিয়ে সাইফুল্লাহকে এক নাম্বার আসামি করানো হয়। এছাড়া ১৯/২/২৫ তারিখ সিএমএম আদালতের সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর আফরোজা আক্তার আঁখি এবং কথিত স্বামী আলামিন কুয়েত থেকে সাইফুল্লাহ এর হোয়াটসঅ্যাপ এ বিভিন্ন ভাবে ফোন দেয়। যার স্ক্রীন সর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে এবং ইমু আইডিতে আলামিন পোষ্ট দিয়েছে- চাচা তৈরি থাকো দুই একদিনের মধ্যে তোমার গ্রামের বাড়িতে আরো দুইটা ওয়ারেন্ট এর কপি যাইবে, আমি গাজীপুরের পোলা ১০০ টাকা তোলা। সাইফুল্লাহ যেখানে বরিশালের তার নিজ বাড়িতে তার ব্যক্তিগত, মিডিয়ার কাজ ও মামলা সংক্রান্ত কাজে অবস্থানরত অথচ সাইফুল্লাহ গণধর্ষণ মামলার এক নাম্বার আসামি এবং মামলার ওয়ারেন্ট যাচ্ছে বাড়িতে এই ধরনের আগাম কথা কিভাবে বলে কথিত আলামিন!! সেক্ষেত্রে কথিত আলামিনকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এর মাধ্যমে এই ধরনের কার্যক্রম এর জন্য তলব করা হোক এবং বাংলাদেশের কথিত আলামিন এর স্ত্রী আফরোজা আক্তার আঁখিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হোক বাদীকে ও জিজ্ঞাসা করা হোক। এমন মিথ্যে ও বানোয়াট ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল্লাকে হেনস্থা করায় ঢাকা শহর সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক মহল উদ্বিগ্ন। এমন ন্যাক্কার জন্য ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল্লাহকে মিথ্যে জড়ানো, তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিকভাবে আর্থিক ক্ষতি করার জন্য যে চক্র মহলটি উঠে পড়ে লেগেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা না গেলে ভবিষ্যতে হয়তো অন্য কারো জীবন নষ্ট হতে পারে।।