দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’ পত্রিকার বন্ধ কার্যালয় খুলে দিয়ে প্রকাশনা চালু রাখার দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার রাজধানীর কাকরাইলের এইচআর ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আন্দোলনরত সাংবাদিক-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতের দাবি তুলেন।
সাংবাদিকরা কেন রাজপথে- এমন প্রশ্ন তুলে বক্তারা বলেন, নিজেরা এসি রুমে বসে সাংবাদিকদের রাস্তায় নামিয়েছেন! এসি রুমে থাকা সম্ভব হবে না। টেনে হিঁচড়ে এসি রুম থেকে বের করব। সব কিছু এত সহজ না, রাস্তায় নিয়ে আসব। ভোরের কাগজের প্রত্যেকটি কর্মী অগ্নিমূর্তি ধারণ করে আছে। এই অগ্নিতে বারুদ ছিঁটাবেন না। বারুদ পেলে তারা দাও দাও করে জ্বলে উঠবে। আমাদের সাথে বসুন। আমাদের দাবি মেনে নিন। ভোরের কাগজের দরজা খুলে দিন। আমরা সবাই আমাদের দায়িত্বে ফিরে যেতে চাই, কাজ করতে চাই।
এর আগে, বুধবার (২২ জানুয়ারি) ‘বৈষম্যের শিকার সাংবাদিক-কর্মচারীদের’ পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তবে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী সম্পাদক একে সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়াল নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। দাবিদাওয়া পূরণে প্রতিষ্ঠানটির সাংবাদিক-কর্মচারীদের দেওয়া পাঁচ দিনের আল্টিমেটামের পরের দিনই পত্রিকা বন্ধের এই ঘোষণা আসে।
গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক এলাকায় ভোরের কাগজ অফিসের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। সমাবেশে ভোরের কাগজের সাংবাদিক-কর্মচারীদের দাবি দাওয়া পূরণে পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাংবাদিক নেতারা।
ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বলা হয়েছিল, ভোরের কাগজ ৮ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে- এমন ঘোষণা দিয়ে সরকার থেকে ৯০০ টাকা কলাম ইঞ্চি বিজ্ঞাপনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু সাংবাদিক-কর্মচারীদেরকে ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনেককেই কোনো নিয়োগপত্র দেয়নি।