ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হর্ন বন্ধ করা আমার দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হচ্ছে আইনটাকে প্রয়োগ করা’ শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ট্রাম্প-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল জাপাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ষড়যন্ত্র চলছে: জি এম কাদের এই দিনে ভারতের ১৬ সেনাকে চিতায় পাঠায় সাহসী বিডিআর জওয়ানরা : ইলিয়াস আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ আরেকটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আসার সকল রাস্তা বন্ধ করবো: নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত : জয়সওয়াল রাস্তায় নামলে অনেক উপদেষ্টার দেশ ছাড়তে হবে : নুর

ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় চুক্তি হলো বাংলাদেশের সাথে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০৫:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩৯ সময় ভিউ

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন প্রকল্প উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর ৫০ লাখ মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এই চুক্তিটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। পক্ষগুলো জানিয়েছে, এই চুক্তি নতুন প্রশাসনের জ্বালানি-সমর্থনকারী নীতির প্রতি শিল্পখাতের আস্থার প্রতিফলন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে যেসব দেশে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই সেসব দেশে এলএনজি রপ্তানির লাইসেন্স স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “এই চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও শক্তিশালী করবে।” যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক এবং ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের রপ্তানি সক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার আশা করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা।

যদি লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরশনে আর্জেন্ট এলএনজি প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়, তবে তার পণ্যসম্ভার বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকে সরবরাহ করা যেতে পারে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে এবং এলএনজি ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তবে দেশটি দামের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশ সস্তা কয়লা ব্যবহারে ফিরে গিয়েছিল।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় চুক্তি হলো বাংলাদেশের সাথে

বর্তমান সময় : ০৫:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন বার্ষিক এলএনজি উৎপাদন প্রকল্প উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজি বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর ৫০ লাখ মেট্রিক টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বলে প্রতিষ্ঠানটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এই চুক্তিটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। পক্ষগুলো জানিয়েছে, এই চুক্তি নতুন প্রশাসনের জ্বালানি-সমর্থনকারী নীতির প্রতি শিল্পখাতের আস্থার প্রতিফলন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে যেসব দেশে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই সেসব দেশে এলএনজি রপ্তানির লাইসেন্স স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “এই চুক্তি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও শক্তিশালী করবে।” যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম এলএনজি রপ্তানিকারক এবং ২০২৮ সালের মধ্যে তাদের রপ্তানি সক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার আশা করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা।

যদি লুইজিয়ানার পোর্ট ফোরশনে আর্জেন্ট এলএনজি প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়, তবে তার পণ্যসম্ভার বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকে সরবরাহ করা যেতে পারে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানি সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছে এবং এলএনজি ব্যবহার বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তবে দেশটি দামের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের কারণে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায়, বাংলাদেশ সস্তা কয়লা ব্যবহারে ফিরে গিয়েছিল।