ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে এবার শেখ হাসিনার ছবি লাগানো ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ রাজউক উত্তরা অফিস মতিঝিলে একিভূত করার আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট খাল খনন উদ্বোধনে লাল গালিচা, ব্যাখ্যা দিলো ডিএনসিসি বিএনপির পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের বিশুদ্ব পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ বগুড়ার শেরপুর শহরে উড়ালসড়ক নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন একুশের টান দুঃসাহসী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান জ্বলন্ত প্রমাণ: প্রধান উপদেষ্টা তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, মানুষের ভোগান্তি ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি, ময়লা ফেললেন প্রেসসচিব সরকারের সহায়তা নিয়ে নতুন দল গঠন করলে জনগণ মেনে নিবে না- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

নীলক্ষেতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • বর্তমান সময় : ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৮ সময় ভিউ

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার দিবাগত রাত ১২টার পরেও সেখানে দুই পক্ষের অবস্থান ও উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। তবে পরিস্থিতি তখনো শান্ত হয়নি।

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে আসেন। তাঁরা নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন।

এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে নীলক্ষেত মোড় থেকে কিছুটা সরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা আবার একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি এই ধাওয়ার মধ্যে রাত ১২টার পর পুলিশ মাঝে অবস্থান নিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপরেও দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা দুই দিকে অবস্থান নিয়ে আছেন।

এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে কিছু সময় থেকে সরে এসে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত মোড়, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন। এর প্রতিবাদে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেছেন। তাঁরা জানান, তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে এবং সহ–উপাচার্যকে তাঁর আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ রাকিব বলেন, শিক্ষার্থীরা কিছুদিন আগেও তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। রোববার বিকেলেও তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মামুনের সঙ্গে দেখা করে দাবিগুলোর কথা জানান। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁদের বলেন, ‘তোমরা কারা?’ এটি শিক্ষার্থীদের আত্মসম্মানে আঘাত করে। তাই তাঁরা সেখান থেকে বের হয়ে এসে সন্ধ্যায় সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা এসেছিল আমার সঙ্গে কথা বলতে। তখন আমি তাদের বলি, তোমরা সবাই না এসে দুজন আসো। কিন্তু অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে ঢুকে যায়। ঘটনা এতটুকুই। সেখানে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি।’ তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা বিষয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের বিষয়ে যে কমিটি আছে, তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা, ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটতে হবে ও সাত লেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি জমা রাখতে হবে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

নীলক্ষেতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

বর্তমান সময় : ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার দিবাগত রাত ১২টার পরেও সেখানে দুই পক্ষের অবস্থান ও উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। তবে পরিস্থিতি তখনো শান্ত হয়নি।

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত সাত কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে আসেন। তাঁরা নীলক্ষেত মোড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন।

এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে তাঁদের ধাওয়া দেন। এতে নীলক্ষেত মোড় থেকে কিছুটা সরে যান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা আবার একজোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি এই ধাওয়ার মধ্যে রাত ১২টার পর পুলিশ মাঝে অবস্থান নিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপরেও দুই পক্ষের শিক্ষার্থীরা দুই দিকে অবস্থান নিয়ে আছেন।

এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখানে কিছু সময় থেকে সরে এসে সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত মোড়, এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে অপমান করেন। এর প্রতিবাদে তাঁরা সড়ক অবরোধ করেছেন। তাঁরা জানান, তাঁদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে এবং সহ–উপাচার্যকে তাঁর আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ রাকিব বলেন, শিক্ষার্থীরা কিছুদিন আগেও তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। রোববার বিকেলেও তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মামুনের সঙ্গে দেখা করে দাবিগুলোর কথা জানান। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাঁদের বলেন, ‘তোমরা কারা?’ এটি শিক্ষার্থীদের আত্মসম্মানে আঘাত করে। তাই তাঁরা সেখান থেকে বের হয়ে এসে সন্ধ্যায় সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা এসেছিল আমার সঙ্গে কথা বলতে। তখন আমি তাদের বলি, তোমরা সবাই না এসে দুজন আসো। কিন্তু অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে ঢুকে যায়। ঘটনা এতটুকুই। সেখানে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করা হয়নি।’ তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা বিষয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাত কলেজের বিষয়ে যে কমিটি আছে, তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, শ্রেণিকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি না করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা, ভর্তি পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটতে হবে ও সাত লেজের ভর্তি ফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত নতুন অ্যাকাউন্টে ভর্তি ফি জমা রাখতে হবে।